দামোদর নদ থেকে মিললো কষ্টি পাথরের উমা মহেশ্বর এর মূর্তি

26th November 2020 6:04 pm বর্ধমান
দামোদর নদ থেকে মিললো কষ্টি পাথরের উমা মহেশ্বর এর মূর্তি


প্রদীপ চট্টোপাধ‍্যায় ( বর্ধমান ) :  বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্ৰহশালায় ঠাঁঁই পেতে চলেছে দামোদর থেকে উদ্ধার হওয়া পাল-সেন আমলের কষ্টি পাথরের তৈরি প্রাচীন উমা-মহেশ্বর মূর্তি। কিছুদিন আগে দামোদরে স্নান করতে নেমে এই মূর্তিটি পেয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের রায়নার বামুনিয়া গ্রামের মেটে পরিবারের এক সদস্য । মূর্তিটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তিনি পুজো পাঠও শুরু করে দিয়েছিলেন । তা নিয়ে আলোড়নও পড়ে গিয়েছিল এলাকায় ।  প্রাচীন এই মূর্তি উদ্ধারের বিষয়টি মঙ্গলবার জানতে পারেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কিউরেটর রঙ্গনকান্তি জানা। তা পরেই বিশ্ববিদ্যালয় তরফে যোগাযোগ করা হয় রায়না থানায় । রায়না থানার পুলিশ মেটে পরিবারের কাছ থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করেছে । পুলিশের সাহায্যে বৃহস্পতিবার থেকেই  মূর্তিটি ঠাঁই পাবে  বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্ৰহশালায় ।  মূর্তিটি কালো কষ্টি পাথরের উপর খোদাই করা । বিশ্ববিদ্যালয়ের কিউরেটর রঙ্গনকান্তি জানা জানিয়েছেন  ,মূর্তিটি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নশালায় দেবার ব্যাপারে মেটে পরিবার রাজি হয়েছেন।  রঙ্গনবাবু বলেন,জানতে পেরেছি “মূর্তিটি সাড়ে তিন ফুট লম্বা ও আড়াই ফুট চওড়া। মূর্তিটি কষ্টি পাথরের তৈরি উমা-মহেশ্বর মূর্তি।“ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রন্তশালা সূত্রে জানাগিয়েছে,তাঁদের সংগ্রহশালাটি ৬০ বছরের পুরনো ।  সেখানে বহু প্রাচীন মূর্তি সহ মূর্তি সহ রাজাভিষেকের ছবিও রয়েছে । এবার রায়নার বামুনিয়ার মেটে পরিবারের কাছ থেকে  পাওয়া প্রাচীন মূর্তিটিও সেখানে ঠাঁই পাবে ।  বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, মূর্তিটি শৈলি আদি মধ্য যুগ অর্থাৎ পাল - সেন আমলের ।  কালো পাথরের উপর খোদাই করা ওই মূর্তিটির একদিকে রয়েছেন উমা। উমার পাশে রয়েছে ষাঁড়। তাঁর নিচের দিকে রয়েছে সিংহ মূর্তি। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের (এএসআই) প্রাক্তন অধিকর্তা গৌতম সেনগুপ্ত  মূর্তিটির ছবি দেখে বলেন, “ মূর্তিটি আদি মধ্যযুগের মূর্তি বলে মনে হচ্ছে । তাঁর মতে মূর্তিটি বাংলার বিশিষ্ট শিল্পরীতির বিশেষ নিদর্শন “। রায়নার বামুনিয়া গ্রামের মেটে পরিবারের সদস্য মনি মেটে বলেন,“ দামোদরে স্নান করতে গিয়ে আমারা মূর্তিটি পাই। মূর্তিটি বাড়িতে এনে পুজোও শুরু করেছিলাম। প্রাচীন মূর্তিটি  সরকারি সম্পত্তি বলে পুলিশ এদিন  আমাদের জানায় । আমরা প্রশাসনকে ওই মূর্তিটি  ফিরিয়ে দিয়েছি  " । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।